ওয়েবসাইট তৈরির সেরা সাত ওপেন সোর্স সিএমএস

ওয়েবসাইট তৈরির জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হলো কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএমএস) ব্যবহার করা। সিএমএস ব্যবহারে খুব বেশি কোডিং জ্ঞান থাকার প্রয়োজন হয় না বলে বিশ্বব্যাপি সিএমএস ব্যবহার দ্রুতগতিতে বাড়ছে। বর্তমানে হাজারো সিএমএস রয়েছে। তবে ব্যবহার ও প্রয়োজনের দিক থেকে জনপ্রিয় অল্প কয়েকটি সিএমএস। এক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে ওপেন সোর্স সিএমএসগুলো। তেমনি জনপ্রিয় সাতটি ওপেন সোর্স সিএমএস নিয়ে এই লেখাটি।

ওয়ার্ডপ্রেস
বর্তমানে ব্যবহৃত সিএমএস এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হলো ওয়ার্ডপ্রেস। এটি পিএইচপি ও মাইএসকিউএল এর সমন্বয়ে তৈরি। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ি, বিশ্বব্যাপি সিএমএস ব্যবহার করে নতুন যেসব ওয়েবসাইট তৈরির হচ্ছে তার প্রায় ৬০ শতাংশ ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করছে। আর বিশ্বব্যাপি যে পরিমান ওয়েবসাইট রয়েছে তার ১৮.১ শতাংশই তৈরি ওয়ার্ডপ্রেসে। ছোট এবং মাঝারি ব্যবসা থেকে শুরু করে বড় বড় কর্পোরেট এবং বহুজাতিক কোম্পানিগুলোও এখন ওয়ার্ডপ্রেস সিএমএস দিয়ে নিজেদের ওয়েবসাইট তৈরি করছে। মজিলা, ইয়াহু, নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, ফোর্ড, সিএনএন, নাসা, টাইম ম্যাগাজিন, টেকক্রাঞ্চ, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিসহ বিশ্বের টপ মিলিয়ন ওয়েবসাইটের প্রায় ২০ শতাংশ ওয়ার্ডপ্রেসে তৈরি। তাই ওয়ার্ডপ্রেসকে সময়ের সেরা সিএমএস বলে অভিহিত করা হয়।

ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে খুব সহজেই কর্পোরেট, ব্লগ, পার্সোনাল, অনলাইন নিউজপেপার ইত্যাদি যেকোন প্রকারের সাইট তৈরি করা যায়। এমনকি কোডিং জ্ঞান ছাড়াই ওয়ার্ডপ্রেস থিম দিয়ে যে কেউ একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। এক্ষেত্রে সময়ও লাগে কম। ওয়ার্ডপ্রেসের থিম ডিরেক্টরিতে থাকা হাজার হাজার থিম থেকে পছন্দেরটি বেছে নিয়ে যেমন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় তেমনি যেকোন থিমকে ইচ্ছামত ডিজাইনও করে নেয়া সম্ভব। করে নেয়া যায় যেকোন ফিচার কাস্টোমাইজেশনও। রয়েছে প্রয়োজনীয় লাখো প্লাগ-ইন।

সহজ ইউজার ইন্টারফেস, ঝামেলামুক্ত কনফিগারেশন ও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বান্ধব হওয়ায় প্রতিনিয়ত এর চাহিদা বেড়েই চলেছে। ওয়ার্ডপ্রেস থিম হচ্ছে অনেকগুলো ফাইলের সমষ্টি যা দ্বারা একটি ওয়েবসাইটের বাহ্যিক ডিজাইনের পাশাপাশি ওয়ার্ডপ্রেসের মূল ফাইলগুলো পরিবর্তন না করেই ব্যাকএন্ডের ফাংশনালিটি যোগ করা হয়, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী খুব সহজেই ওয়েবসাইটের কাঙ্খিত পরিবর্তন করতে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডিজাইনের জন্য প্রয়োজন হয় এইচটিএমএল, সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্ট, জেকুয়েরি ইত্যাদি। আর ফাংশনালিটি যোগ করার জন্য প্রয়োজন হয় পিএইচপি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এবং সাথে জানতে হয় ওয়ার্ডপ্রেসের নিজস্ব গঠনতন্ত্র। আপনি যত ভাল ডিজাইন জানবেন আপনার থিমটি তত সুন্দর হবে এবং আপনি যত ভাল পিএইচপি এবং ওয়ার্ডপ্রেস থিমের গঠনতন্ত্র জানবেন আপনি তত বেশি থিম অপশন যোগ করতে পারবেন। সম্প্রতি ওয়ার্ডপ্রেসের ৩.৭.১ সংস্করণটি উন্মুক্ত করা হয়েছে। জনপ্রিয় এই সিএমএসটি http://wordpress.org/download/ লিংক থেকে বিনামুল্যে ডাউনলোড ও ব্যবহার করা যাবে।

জুমলা
কোনো রকমের প্রোগ্রামিং এবং টেকনিক্যাল জ্ঞান ছাড়াই একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট তৈরির আরেকটি জনপ্রিয় সিএমএস হলো জুমলা। এটি মডেল ভিউ কন্ট্রোলার ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে তৈরি যা স্বাধীনভাবে ব্যবহার করা যায়। জুমলার অসংখ্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এর সহজ ব্যবহারযোগ্যতা এবং এটি দিয়ে যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। তাইতো ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে শুরু করে অনলাইন ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র, সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট, ছোট-বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে জুমলা দিয়ে। ওয়ার্ডপ্রেসের মতোই জুমলা তৈরি হয়েছে পিএইচপি, মাইএসকিউএল, এমএসএসকিউএল, অবজেক্ট অরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং (ওওপি) এর সমন্বয়ে।

২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট উন্মুক্ত করা এই সিএমএসটি গত জুলাই পর্যন্ত বিশ্বব্যাপি ৩৫ মিলিয়নের অধিকবার ডাউনলোড হয়েছে। যদিও জুমলাকে সাধারণভাবে কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বলা হয়, তবে জুমলার ব্যবহার শুধু তথ্য ব্যবস্থাপনার ওপরই সীমাবদ্ধ নয়। বিভিন্ন এক্সটেনশন যোগ করে এটিকে যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইটে রূপান্তর করা যায়। এক্সটেনশন হচ্ছে অতিরিক্ত প্রোগ্রাম যা জুমলাকে নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য প্রদান করে। জুমলার অফিসিয়াল এক্সটেনশন ডিরেক্টরিতে ৬ হাজারের অধিক বিনামুল্যের এক্সটেনশন রয়েছে। এই এক্সটেনশনগুলো জুমলার ব্যবহারকারীরাই তৈরি করে থাকে, যা extensions.joomla.org সাইট থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়। জুমলাতে একটি নতুন এক্সটেনশন যুক্ত করা খুবই সহজ, অনেকটা কোনো অপারেটিং সিস্টেমে একটি সফটওয়্যার ইনস্টল করার মতোই। এক্সটেনশনের জিপ ফাইলকে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্যানেল থেকে আপলোড করে দিলেই হবে। জনপ্রিয় এই সিএমএসটি পাঁচ ধরনের এক্সটেনশন সাপোর্ট করে। এগুলো হলো- কম্পোনেন্ট, মডিউল, প্লাগইন, টেমপ্লেট এবং ল্যাঙ্গুয়েজ। বর্তমানে সিএমএসটির ৩.১ সংস্করণ রয়েছে। ওপেন সোর্স এই সফটওয়্যারটি http://www.joomla.org/download.html ওয়েবসাইট থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড ও ব্যবহার করা যায়।

দ্রুপাল
দ্রুপাল ওপেন সোর্সভিত্তিক অপর একটি জনপ্রিয় কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএমএস)। ২০০১ সালের ১৫ জানুয়ারি সর্বপ্রথম দ্রুপাল সিএমএস উন্মুক্ত করা হয়। ক্রমেই দ্রুপাল এর চাহিদা বেড়েই চলছে। বর্তমানে বিশ্বের মোট ওয়েবসাইটের প্রায় ২.১ শতাংশ দ্রুপালে তৈরি। এর মধ্যে ব্যক্তিগত ব্লগ থেকে শুরু করে কর্পোরেট, রাজনৈতিক, যুক্তরাজ্যের হোয়াইট হাইজ ও তথ্য ব্যবস্থাপনার সাইটের মতো বিশ্বব্যাপি বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইট রয়েছে। নলেজ ম্যানেজমেন্ট ও বিজনের কোলাবোরেশনের জন্যও দ্রুপাল ব্যবহার করা হয়। জুমলার মত দ্রুপালেরও ডেভেলপার একক কোন ব্যক্তি নয়। দ্রুপাল প্রায় সাত লাখ ব্যবহারকারী এবং ডেভেলপারদের রক্ষনাবেক্ষনে তৈরি। সিএমএসটি পিএইচপি’র সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে। দ্রুপালের স্ট্যান্ডার্ড সংস্করণটি দ্রুপাল কোর নামেও পরিচিত।

২০০৬ থেকে ২০০৯ এ ওপেনসোর্স সিএমএস অ্যাওয়ার্ড-এ প্রথম এবং ২০১০ এ দ্বিতীয় অবস্থান অর্জন করে এটি। অনলাইন সার্ভারে দ্রুপাল ইনস্টল করে ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। এ কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে পরিসংখ্যান ও লগইন, উন্নতমানের সার্চ, ব্লগ, ফোরাম ও পোল তৈরি করা যায়। এর বিল্ট-ইন এডিটর নেই। তবে প্রয়োজনে তথ্য, ছবি, ভিডিও যোগ করার জন্য অনেক এক্সটেনশন রয়েছে। এক্সটেনশনগুলো ইন্সটল করে প্রয়োজনীয় ফিচার যোগ করা যায়। সাধারণ কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের প্রায় সব মৌলিক বৈশিষ্ট্যই যেমন ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন এবং রক্ষণাবেক্ষণ, মেনু ব্যবস্থাপনা, আরএসএস ফিড, সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রয়েছে এই সিএমএসটিতে। গত আগস্টে দ্রুপালের কমিউনিটি কন্ট্রিবিউটেড অ্যাডঅন ২২ হাজারের অধিক ছাড়িয়ে গেছে, যা কন্ট্রিবিউটেড মডিউলস নামে পরিচিত। এর প্লাগইন এক্সটেনসিবিলিটির ও মডুলার নকশার জন্য একে কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক হিসেবেও বর্ণনা করা হয়। ডেভেলপারদের জন্য রয়েছে দ্রুপালের অত্যাধুনিক প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস এবং এর ইন্টারেশন ও ম্যানেজমেন্টের জন্য কোনো প্রোগ্রামিং জ্ঞান না থাকলেও চলে। পিএইচপি ও ডাটাবেজ সমর্থিত ওয়েবসার্ভারে এটি চালানো যায়। গত আগস্টে দ্রুপালের ৭.২৩ সংস্করণ উন্মুক্ত করা হয়। https://drupal.org সাইট থেকে সিএমএসটি বিনামুল্যে ডাউনলোড ও ব্যবহার করা যাবে।

ম্যাজেন্টো
ম্যাজেন্টো হলো ওপেন সোর্স ভিত্তিক ই-কমার্স ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন যা ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ উন্মুক্ত করা হয়। এটি জেন্ড ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে তৈরি। ওপেন সোর্স কমিউনিটির প্রোগ্রামারদের সহায়তায় ভ্যারিয়েন (বর্তমানে ম্যাজেন্টো ইনকর্পোরেট) এই সিএমএসটি ডেভেলপ করেছে। সবধরনের ফিচারযুক্ত একটি পূর্ণাঙ্গ ই-কমার্স সাইট তৈরি করতে কয়েক মাসের পরিবর্তে মাত্র কয়েক দিনেই তৈরি করা যায়। এটি পিএইচপি ও মাইএসকিউএল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ইদানিংকালে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে খোঁজ নিলে দেখা যাবে বেশিরভাগ ই-কমার্স সাইট তৈরি হচ্ছে ম্যাজেন্টো নির্ভর। একটি আধুনিক ওয়েবসাইটে প্রোডাক্ট ব্রাউজিং করার জন্য যে সকল ফিচার থাকে তার প্রায় সবকটিই রয়েছে ম্যাজেন্টোতে। পণ্যের একাধিক ছবি যুক্ত করা ও জুম করে দেখার পাশাপাশি প্রোডাক্ট রিভিউ, রিলেটেড প্রোডাক্ট, পণ্যের তথ্য ইমেইল করে বন্ধুকে জানানোর সুবিধা ইত্যাদি রয়েছে। রয়েছে পণ্যের ক্যাটালগ ব্যবস্থাপনার শক্তিশালী ব্যবস্থা। রয়েছে মিডিয়া ম্যানেজার যা দিয়ে পণ্যের ছবির আকার স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিবর্তন এবং তাতে জলছাপ দেয়া যায়।

একটি অনলাইন স্টোর দক্ষভাবে পরিচালনা করার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা ম্যাজেন্টোতে রয়েছে। একই অ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্যানেল থেকে একাধিক স্টোরকে পরিচালনা করা যায়। ম্যাজেন্টোর নতুন ভার্সন প্রকাশ হওয়া মাত্রই তা একটা ক্লিকের মাধ্যমেই আপগ্রেড করা যায়। সাইটের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য এর সাথে বিভিন্ন ধরনের রিপোর্ট দেখার ব্যবস্থা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ঠ্য হচ্ছে সেলস রিপোর্ট, ট্যাক্স রিপোর্ট, সর্বাধিক বিক্রি হওয়া পণ্যের রিপোর্ট, স্টক রিপোর্ট, কুপন রিপোর্ট ইত্যাদি। ম্যাজেন্টোর সাথে গুগল অ্যানালাইটিকস যুক্ত আছে ফলে সাইটে আসা ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানা যায়। ম্যাজেন্টোর সাথে পেপাল, অ্যামাজন পেমেন্ট, গুগল চেকআউট, অথরাইজ.নেট এর মত প্রায় সকল বড় বড় পেমেন্ট গেটওয়ে যুক্ত রয়েছে। পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ড, চেক এবং মানি অর্ডারেরও ব্যবস্থা রয়েছে। শিপিং বা পণ্য ক্রেতার কাছে পৌছে দেবার জন্য প্রায় সকল আন্তর্জাতিক পদ্ধতি এতে যুক্ত রয়েছে। যেগুলো দিয়ে রিয়েলটাইমে শিপিং এর মূল্য জানা যায়। রয়েছে অর্ডার ট্রেকিং, একই অর্ডারে একাধিক শিপিং যুক্ত করা, প্রতি অর্ডারে ফ্লাট শিপিং রেট, ফ্রি শিপিং, পণ্যের ওজন বা পণ্যের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে আলাদা আলাদা রেটের ব্যবস্থা ইত্যাদি নানাবিধ সুবিধা। এছাড়া ম্যাজেন্টো দিয়ে খুব সহজেই এম-কমার্স বা মোবাইল কমার্স চালু করা যায়। অর্থাৎ মোবাইল ফোনে ওয়েবসাইটটিতে ব্রাউজ করলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোবাইল ফোনকে চিনতে পারে এবং সে অনুযায়ী সাইটের লেআউটকে মোবাইলের জন্য উপযুক্ত করে তোলে। বাড়তি ফিচার ও ফাংশনের জন্য রয়েছে ম্যাজেন্টো কানেক্ট, যেখান থেকে বিভিন্ন এক্সটেনশন ইনস্টল করা যায়। ম্যাজেন্টোর ফ্রি বা কমিউনিটি ভার্সনের পাশাপাশি প্রফেশনাল ও এন্টারপ্রাইজ নামক আরো দুটি সংস্করণ রয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে বার্ষিক ফি দিয়ে ব্যবহার করতে হয়। লেনোভো, থ্রিএম, স্যামসাংয়ের মতো বিশ্বের অনেক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ম্যাজেন্টো ব্যবহার করে। সিএমএসটি http://www.magentocommerce.com/download লিংক থেকে ডাউনলোড করা যাবে।